• বিশ্বজুড়ে

    টোগোতে সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভে নিহত ৭

      অনলাইন ডেস্ক ৩০ জুন ২০২৫ , ১:৪৯:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    টোগোর রাজধানী লোমে সাম্প্রতিক সরকার বিরোধী বিক্ষোভে কমপক্ষে সাত জন নিহত ও আরো অনেকেই আহত হয়েছে বলে দেশটির বিভিন্ন নাগরিক ও মানবাধিকার সংস্থা সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছে।

     

    লোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

     

    প্রচারণাকারী ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো ‘টোগোর নিরাপত্তা বাহিনী ও বিভিন্ন মিলিশিয়া বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত নির্যাতনের’ নিন্দা জানিয়েছে। রাজধানীর নদী থেকে সাতটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় তারা।

     

    মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনের বিক্ষোভে অনেকেই আহত হয়েছেন।

     

    তারা আরো জানায়, ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

     

    টোগো কর্তৃপক্ষ সাম্প্রতিক বিক্ষোভে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

     

    রোববার বিক্ষোভ চলাকালে নিহত হওয়ার কথা অস্বীকার করেছে।

     

    উদ্ধার হওয়া লাশের সংখ্যা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য না করে সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ফরেনসিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, এই মৃত্যুগুলো ডুবে যাওয়ার ফলে ঘটেছে।’

     

    রোববার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে আঞ্চলিক প্রশাসনের মন্ত্রী হোদাবালো আওয়াতে বলেন, ‘আমি আমাদের নাগরিকদের তাদের ভালো আচরণ এবং আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর পেশাদারিত্বের জন্য অভিনন্দন জানাতে চাই এবং সর্বোপরি তাদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার টোগোর নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

     

    -‘অগ্রহণযোগ্য’-

     

    এর আগে, ‘ফ্রন্ট সিটোয়েন টোগো ডেবাউট’ এর ডেভিড ডোসেহ এএফপি’কে বলেন, ‘আমরা এমন একটি দেশে আছি, যেখানে নাগরিকদের এখনও বাইরে বের হওয়ার, নিজেদের প্রকাশ করার অধিকার রয়েছে।’

     

    তিনি বলেন, ‘তাদের এই রাষ্ট্র-আরোপিত বর্বরতার মুখোমুখি হওয়া উচিত নয়, এটি অগ্রহণযোগ্য।’

     

    ডোসেহ আরো বলেন, আমরা পশু নই, আমরা এই দেশের সন্তান এবং এই দেশের সন্তান ও নাগরিক হিসেবে, সংবিধান আমাদের নিজেদের মত প্রকাশ করার ও শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকার দিয়েছে।’

     

    টোগোতে বিক্ষোভ বিরল। প্রেসিডেন্ট ফাউরে গনাসিংবে ২০০৫ সাল থেকে ক্ষমতায় তার দখল বজায় রেখেছেন।

     

    তিনি তার পিতার স্থলাভিষিক্ত হয়ে প্রায় চার দশক ধরে শাসন করেছেন দেশটি।

     

    কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে, রাজধানীতে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারী রাস্তা অবরোধ করে, টায়ার জ্বালিয়ে ও কাঠের ব্যারিকেডে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় তারা অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়।

     

    সমালোচকদের ওপর দমন-পীড়ন, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ও ৫৯ বছর বয়সী গনাসিংবেকে তার ক্ষমতাকে আরো সুসংহত করার সুযোগ করে দেওয়া সাংবিধানিক সংস্কারের বিরুদ্ধে জনগণ প্রতিবাদ করছে।

     

    গত ৫ এবং ৬ জুন, পুলিশ প্রায় ৫০ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে, যাদের বেশিরভাগই তরুণ।

     

    তাদের বেশিরভাগকেই মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ‘নির্যাতন’ এর অভিযোগের নিন্দা জানিয়েছে।

     

    সরকার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলেছে, ‘এই ধরনের নির্যাতনের বিষয়ে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।’

     

    সরকার বিক্ষোভকারীদের ‘বিশৃঙ্খলা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির’ নিন্দা করেছে।

    আরও খবর

    Sponsered content