
নিজস্ব প্রতিবেদক ২৩ আগস্ট ২০২৫ , ১০:১৫:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
নাটোরের লালপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের মোহরার রিপন আলী’র বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ দলীল লেখক সমিতির সখ্যতায় মোটা অংকের কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে রিপন আলী’র অনিয়ম দুর্নীতি নতুন কিছু নয় এই যেনো নৃত্য দিনের সঙ্গী। নানান অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানী টিম মোহরার রিপন আলী’র সঙ্গে সেবাগ্ৰহীতা হয়ে যোগাযোগ করে। সেখানে দলিল রেজিস্ট্রেশন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার কর্তৃক ফি যেটা রয়েছে সেটা দিয়েও তাঁর বাহিরে কিছু খরচ আছে, জমির মূল্যের উপর অতিরিক্ত ২ শতাংশ। যেই অংশ দলিল লেখক সমিতির সেরেস্তা খরচ, সাব রেজিস্টার খরচ, অফিস খরচ ইত্যাদি’।
এই নির্ধারিত কমিশন চলে যায় ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে সকল সিন্ডিকেটের নিকট। তবে সবচেয়ে বড় অংশটি সাব রেজিস্টারের জন্য বরাদ্দ হয়।
জানা গেছে, মোহরার রিপন আলীর বাবা ছিলেন একসময়ের দলিল লেখক সমিতির আহ্বায়ক। তাঁর বাবাকে পুঁজি করে গড়ে তুলেছিলেন রেজিস্ট্রি অফিসে একক আধিপত্য, অতিরিক্ত অর্থ আদায় সহ নানান অনিয়ম ছিলো তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করলে অন্য দলিল লেখকদের কাজ বন্ধ করে দিতেন রিপন, এমনও অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
কমিশন ছাড়া জমি রেজিস্ট্রি করা হতো না যার মূল নিয়ন্ত্রক রিপন সিন্ডিকেট, যার কারনে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আশা সাধারণ সেবাগ্ৰহীতারা।
মোহরার রিপন বলেন, ‘প্রত্যেকটি দলিল রেজিস্ট্রেশন করতে জমির মূল্যের উপর ১ম এক লাখে ৪ শতাংশ, দুই লাখে ৩ শতাংশ এভাবে ধাপে ধাপে কমিশন প্রদান করতে হবে, যা নির্ধারণ হবে জমির মূল্যের উপর। জুলাই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ ইং পূর্ববর্তী তৎকালীন উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), থানা অফিসার ইনচার্জ এবং তৎকালীন সাব রেজিস্ট্রার সহ উপজেলা উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্ধারণ করে দেন। আগের সিস্টেমেটিক রুলসেই বর্তমানে কার্যম্রম চলছে’।
এ ব্যাপারে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার সজল কুমার সাহার বলেন, ‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে অফিসের দায়িত্ব পেয়েছি। আমি কখনোই অনিয়মের পক্ষে না। এখানের দায়িত্ব পাওয়ার পর ধীরে ধীরে পূর্বের জর্জরিত নিয়ম থেকে চেষ্টা করছি সবকিছু পরিবর্তন করার। যারা অগোচরে অফিসের নাম ব্যবহার করে সেবাগ্রাহকদের হয়রানি করছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবো’।
অনিয়ম প্রসঙ্গে সেবাগ্ৰহীতাদের মাঝে অতিরিক্ত খরচ আদায়ের স্বচিত্র অনুসন্ধানী টিমের নিকট রয়েছে যা পরবর্তী ধারাবাহিক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশিত হবে।

















